ডিপ্লোমা হোল্ডাররা টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করার জন্য প্রশিক্ষিত: বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিবৃতি

সম্প্রতি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করা ডিপ্লোমা গ্রাজুয়েটরা ৯ম গ্রেডের টেকনিক্যাল চাকুরিতে ডিপ্লোমা হোল্ডারদের জন্য কোটা সুবিধা ৩৩ শতাংশ থেকে ৫০ শতা...

ঢাবির নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা, চূড়ান্ত বিষয় বরাদ্দ জুনে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য সব আসন পূর্ণ করে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত বিষয় বরাদ্দ আগামী জু...

ঢাবির তিন ইউনিটের বিষয় পছন্দক্রম পূরণ শুরু, সাক্ষাৎকারের তারিখ প্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ছাড়া বাকি তিন ইউনিটের বিষয় বরাদ্দ ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রক্রি...

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ফলাফলে সেরা দশের সাতজনই এক কলেজের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি প্রোগ্রামের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এই ফলাফলে সেরা দশের সাতজনই...

‘ক্লাসের প্রত্যেক পরীক্ষায় প্রথম হতো ধ্রুব’, নটর ডেমের সেই ছাত্রের মা

‘আমার ছেলে ক্লাসের প্রত্যেক পরীক্ষায় প্রথম হতো। ছোট থেকেই মেধাবী, নম্র, ভদ্র স্বভাবের। কোনো দিন কিছু নিয়ে আমার সঙ্গে জেদ করেনি। লেখাপড়ার প্রতি ছিল তার খু...

বুয়েটে ৪-এ ৪, এমআইটিসহ বিশ্বসেরা ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স, পৃথিবী ছাড়া সৌম্য কেন বললেন—‘আমার আমেরিকান স্বপ্ন মৃত’

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহার উৎসব, কিন্তু এর মাঝেই একটি পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শুধু একটি পরিবার বললে ভুল, বিদেশ...

কলেজে ভর্তিতে থাকছে না জুলাই কোটা, নীতিমালা প্রকাশ

নীতিমালায় জুলাই যোদ্ধাদের জন্য কোনো কোটা নেই। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রয়েছে।

ENSINER এ এখন CHEMISTRY তে নতুন অধ্যায়!

ENSINER এ এখন CHEMISTRY তে নতুন অধ্যায়!

Ensiner পরিবারে অত্যন্ত সম্মানিত একজন শিক্ষকের যুক্ত হওয়া আমাদের জন্য বিশাল গর্বের বিষয়। 💚
আমরা সাদরে স্বাগত জানাচ্ছি সবার প্রিয়, অগণিত শিক্ষার্থী...

SUST(শাবিপ্রবির) প্রথমবর্ষে ভর্তির তারিখ ঘোষণা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী এপ্রিল থেকে নবীন শি...

১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: সেলফি ও ছবি আপলোড নিয়ে নতুন নির্দেশনা

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদনকারীদের ছবি ও সেলফি আপলোডের জন্য আগামীকাল শুক্...

৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার সময় পরিবর্তন

কৃষি গুচ্ছভুক্ত সরকারি ৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। সংশোধিত সময় অনুযায়...

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের প্রস্তুতিতে যা করবেন, করবেন না

দরজায় কড়া নাড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা। ইতিমধ্যে ভর্তিচ্ছুদের সকল প্রস্তুতি সমাপ্তির...

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জানুয়ারি, শুক্রবার। পরীক্ষা একদমই সন্নিকটে বলা যায়। শেষ সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতির নানা কৌশল নি...

ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হতে ঢাবি ছাত্র সিফাতের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ

দরজায় কড়া নাড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা। ইতিমধ্যে ভর্তিচ্ছুদের সকল প্রস্তুতি সমাপ্তির...

How to Crack BUET Admission Test Exam

🔑 BUET 2025 – প্রস্তুতির সঠিক দিকনির্দেশনা from Barun Kanti Ghosh Sir

প্রথমেই একটা কথা মনে রাখবে—
👉 BUET ভর্তি পরীক্ষা হলো Speed + Accuracy + Concept এর খেলা।
যত বেশি প্র্যাকটিস করবে...

ঢাকা মেডিকেল কলেজ: ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

🏥 ঢাকা মেডিকেল কলেজ: ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
লেখক: বরুণ কান্তি ঘোষ

বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার অগ্রদূত এবং স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রস্থল হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি)। ইতিহা...

BCS Jobs Bangladesh

বাংলাদেশে সরকারি প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখায় জনবল নিয়োগের অন্যতম প্রধান পদ্ধতি হলো বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষা। এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাটি পরিচালনা ক...

চুকনগর গণহত্যা (২০ মে ১৯৭১): 💀 ৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত।

🟥 চুকনগর গণহত্যা (২০ মে ১৯৭১):
পৃথিবীর ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ দলিল!
📍 অবস্থান: চুকনগর বাজার ও পাতখোলা বিল, ডুমুরিয়া উপজেলা, খুলনা
📅 তারিখ: ২০ মে, ১৯৭১
🕚 সময়...

স্যালুট মাহেরীন চৌধুরী! স্যালুট! ! ওরাও তো আমার সন্তান।

মাহেরীন চৌধুরীর দুই সন্তান আয়ান রহীদ মিয়াদ চৌধুরী ও আদিল রহীদ মাহিব চৌধুরী এবং স্বামী মনসুর আলী হেলাল শোকে পাথর হেয়ে গেছেন।...

Ensiner Course

Cricket News

Football News

শিক্ষা

চাকরি

Videos

View All

Worldwide

View All

How to Crack BUET Admission Test Exam

🔑 BUET 2025 – প্রস্তুতির সঠিক দিকনির্দেশনা from Barun Kanti Ghosh Sir

প্রথমেই একটা কথা মনে রাখবে—
👉 BUET ভর্তি পরীক্ষা হলো Speed + Accuracy + Concept এর খেলা।
যত বেশি প্র্যাকটিস করবে, তত দ্রুত হবে। যত বেশি কনসেপ্ট পরিষ্কার থাকবে, তত কম ভুল হবে।

📍 Step 1: Strong Foundation 

HSC এর Textbook কে বেস বানাও।

Math, Physics, Chemistry – Basics crystal clear করতে হবে।

Theory মুখস্থ করার চেয়ে Concept বুঝে Solve করো।



📍 Step 2: Problem Solving 

প্রতিদিন অন্তত ২০–৩০টা Math/Physics Problem solve করো।

ভুল হলে কেন ভুল হলো সেটা লিখে রাখবে।

Shortcuts, Tricks, Techniques নিজে বানাও।



📍 Step 3: Exam Mode Practice

Past 10 years BUET Question = Must Solve.

Timer দিয়ে Solve করবে, যেন Real Exam-এর Environment হয়।

Speed build-up করার জন্য Mock Test দাও।



📍 Step 4: Final Revision 

ভুল করা Problem গুলো আবার দেখো।

Formula Sheet বানাও – যেন এক নজরে সব মনে পড়ে।

Final Days এ নতুন কিছু না পড়ে, যা পড়েছো সেটা Perfect করো।


⚡ Special Advice from Barun Sir Style:

“যত বেশি লিখে প্র্যাকটিস করবে, তত বেশি মনে থাকবে।”

“প্রতিদিন Solve না করলে, Exam-এ Confidence আসবে না।”

“BUET এ টিকতে হলে তুমি যতটা মেধাবী, তার চেয়েও বেশি পরিশ্রমী হতে হবে।”


🔥 মনে রাখবে –
Consistency + Practice + Proper Guidance = BUET 2025 জয় করা।
 

ENSINER এ এখন CHEMISTRY তে নতুন অধ্যায়!

ENSINER এ এখন CHEMISTRY তে নতুন অধ্যায়!

Ensiner পরিবারে অত্যন্ত সম্মানিত একজন শিক্ষকের যুক্ত হওয়া আমাদের জন্য বিশাল গর্বের বিষয়। 💚
আমরা সাদরে স্বাগত জানাচ্ছি সবার প্রিয়, অগণিত শিক্ষার্থীর অনুপ্রেরণা – MD. Mostafijur Rahman (PRINCE) Sir–কে! 👨‍🏫

🧪 তিনি এখন থেকে Ensiner–এ Chemistry Department–এর সঙ্গে যুক্ত।
Prince Sir হলেন BUET 2007 ব্যাচের Mechanical Engineering Department–এর গর্বিত ছাত্র। তাঁর SSC ও HSC লেভেলের Chemistry শেখানোর দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা এমনই সমৃদ্ধ, যা নিঃসন্দেহে তাকে বাংলাদেশের সেরা শিক্ষকদের একজন করে তোলে।

📚 14 বছরের অভিজ্ঞতা!
Prince Sir ২০০৮ সাল থেকে UDVASH–এ ক্লাস নিচ্ছেন। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি ১৫০,০০০+ শিক্ষার্থীকে সরাসরি ক্লাসে পড়িয়েছেন – এই সংখ্যাটা শুধু সংখ্যা নয়, এটা একটা ইতিহাস! 🇧🇩

📌 Sir–এর ক্লাসের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব হলো –
🔹 সবসময় to the point পড়ান
🔹 যতটুকু প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই গভীরভাবে ব্যাখ্যা করেন
🔹 Unnecessary কথা না বলে, Chemistry শেখানোর যে একটা Art আছে, তা নিজেই ক্লাসে প্রমাণ করেন।

📢 আমরা নিঃসন্দেহে বলতে পারি –
বাংলাদেশের SSC এবং HSC লেভেলের শিক্ষার্থীরা এখন থেকে ঘরে বসেই পাচ্ছে সর্বোচ্চ মানের, পরীক্ষাভিত্তিক এবং বিশ্লেষণধর্মী Chemistry Content! 🎯

🙏 চলুন, সবাই মিলে Prince Sir–এর জন্য দোয়া করি –
জেনি তিনি Ensiner পরিবারকে তার সর্বোচ্চটা দিতে পারেন এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও যেন ঘরে বসে বিশ্বমানের ক্লাসের স্বাদ নিতে পারে।
#ensiner #Princesir #chemistry #educationforall #RespectForTeachers

স্যালুট মাহেরীন চৌধুরী! স্যালুট! ! ওরাও তো আমার সন্তান।

মাহেরীন চৌধুরীর দুই সন্তান আয়ান রহীদ মিয়াদ চৌধুরী ও আদিল রহীদ মাহিব চৌধুরী এবং স্বামী মনসুর আলী হেলাল শোকে পাথর হেয়ে গেছেন।

রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকা মাহেরীন চৌধুরী। তিনি অন্তত বিশজন শিক্ষার্থীর জীবন রক্ষা করতে গিয়ে নিজেই চিরবিদায় নিয়েছেন।

এমন উদাহরণ এই যুগে এবং এই সময়ে বিরল! নীলফামারীরর জলঢাকা পৌরসভা এলাকায় জন্মেছিলেন তিনি। তাঁর জানাজায় গ্রামের অগণিত মানুষসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। এর পূর্বে ঢাকায় তাঁর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

মাহেরীন চৌধুরীর দুই সন্তান আয়ান রহীদ মিয়াদ চৌধুরী ও আদিল রহীদ মাহিব চৌধুরী এবং স্বামী মনসুর আলী হেলাল শোকে পাথর হেয়ে গেছেন।

হাসপাতালে শেষ দেখার সময়ে স্বামী তাকে যখন বলেছিলেন, তোমার নিজের দুই সন্তানের কথা একবারও ভাবলে না? তখন মৃত্যুর অপেক্ষায় থাকা মাহেরীনের উত্তর, ওরাও তো আমার সন্তান।

-এই একটি ছোট কথার মধ্য দিয়ে ফুঠে উঠেছে পুরো শিক্ষক সমাজের মহত্তম দায়িত্ব ও কর্তব্যের কথা। এইতো আসল শিক্ষক! এইতো খাঁটি শিক্ষক যিনি সব শিক্ষার্থীকে নিজের সন্তান মনে করেন! এটি শুধু নাটক বা উপন্যাস লেখার জন্য নয়, বাস্তব, পুরো বাস্তব! যে অভাবনীয় ঘটনা মাইলস্টোনে ঘটেছে ঐ পরিস্থিতিতে মানুষ নিজের জান বাঁচানোর জন্য ছুটাছুটি করতে থাকে, কারুর দিকে তাকানোর কোন সময় থাকে না।

কিন্তু মাহেরীন চৌধুরী যে কাজটি করেছেন তা নিতান্তই একজন আদর্শ ,পুরো আদর্শ শিক্ষকের কাজ! যাকে বলে মানবতা! যাকে বলে মাতৃত্ব! আগুন লাগার পর অন্যরা নিরাপদ আশ্রয়ের খোজে দৌঁড়াচিছলেন, আর মেহরীন চৌধুরী বাচ্চাদের বের করে আনছিলেন। বারবার ফিরে যাচ্ছিলেন বিপদজনক জোনে। বাকী বাচ্চাদের উদ্ধার করতে। শেষবার তিনি আর ফিরে আসতে পারেননি।

এই উদাহরণ পুরো শিক্ষক সমাজের জন্য, এই উদাহরণ চরম অবক্ষয়ের মধ্য দিয়ে চলা বর্তমান সমাজের জন্য! তিনি যে শিশুদুটোকে রেখে গেছেন তারাও সে রকম। তারা বলছেন ‘‘আমার মা একজন আসল যোদ্ধা!’’ তিনি প্রকৃতই একজন যোদ্ধা যিনি নিজের জীবন বাাঁচানোর জন্য যুদ্ধের মাঠ ছাড়েননি!

মাহেরীন চৌধুরী তাঁর জন্মভূমিতে নিয়মিত যেতেন। তাঁর শিক্ষানুরাগী মনোভাবের জন্য বগুলাগাড়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে এলাকাবাসী তাকে মনোনীয় করেছিলেন। আর একটি মহত কাজের উদাহরণ তিনি রেখে গেলেন। মাহেরীন চৌধুরী বাংলা ভার্সনের তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির কো-অর্ডিনেটর ছিলেন। তাঁর প্রথম সন্তান মাইলস্টোন থেকেই এসএসসি পাস করেছেন, ছোট সন্তানটিও সেখানকার নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

মাহেরীন চৌধুরীর জীবন উৎসর্গ করা নিয়ে একটি প্রশ্ন আমাদের সামনে চলে আসে। তিনি কি জাতির সামনে, পৃথিবীর মানুষে সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপিত হয়েছেন? আমরা যারা বেঁচে আছি তারা মেহরীন চৌধুরীকে কতটা সম্মান প্রদর্শন করেছি। কোনো মিডিয়া কি বিষয়টি সেভাবে তুলে ধরেছে? তিনি যদি ইউনিফর্ম পরা কিংবা কোনো ক্যডারভুক্ত শিক্ষক হতেন, কিংবা অন্য কোনো পেশার লোক হতেন তাহলেও কি তিনি এভাবে উপস্থাপিত হতেন?

হয়তো অনেক বিশেষণ যোগ করে, অনেক ঘটা করে অনেক কিছু করা হতো। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময়ে দেখেছি, ফার্ট লেডি বেগম রওশন এরশাদ বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে বারোটা পর্যন্ত বনার্ত্যদের জন্য ত্রাণের টাকা গ্রহণ করবেন। সেই খবর সমস্ত মিডিয়ায় যেভাবে চাউর করা হয়েছিল এবং ত্রাণ তহবিলে একটি চেক দেয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ যে লাইন ধরে শেরাটনের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন এক নজর ফার্ট লেডিকে দেখবেন এবং তার হাতে চেক প্রদান করে কয়েক সেকেন্ড মিডিয়া তাদের দেখাবে, তাদের জীবন ধন্য হয়ে যাবে সারাজীবনের জন্য! এ রকম সব উদাহরণের মাঝে হারিয়ে যায় আমাদের প্রকৃত বীর, প্রকৃত মানুষ, প্রকৃত শিক্ষক, প্রকৃত উপকারের কথা!

স্যালুট মাহেরীন চৌধুরী! স্যালুট আপনার স্বামী ও সন্তানদের!! দেশের সব শিক্ষকের পক্ষ থেকে আপনাকে জানাচিছ সশ্রদ্ধ সালাম! !! গোটা পৃথিবীর শিক্ষকদের জন্য আপনি অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করে গেলেন!!!!

লেখক: ক্যাডেট কলেজের সাবেক শিক্ষক

2027 Batch কলেজে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ফি সাড়ে ৮ হাজার

এবারও ভর্তিতে সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকাভেদে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ৩০ জুলাই। এ কার্যক্রম চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এ ছাড়াও মূল ভর্তি কার্যক্রম হবে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। এবারও ভর্তিতে সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ৮ হাজার টাকা। এ ছাড়াও বিভিন্ন এলাকাভেদে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে প্রকাশিত নীতিমালা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

নীতিমালায় এবার একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির সর্বোচ্চ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ হাজার ৫০০ টাকা। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার ইংরেজি ভার্সনের ননএমপিও কলেজগুলো এ হারে ভর্তি ফি নিতে পারবেন। আর ঢাকা মেট্রোর বাংলা ভার্সনের ননএমপিও কলেজগুলো একাদশে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবেন।

ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার বাংলা ভার্সনের ননএমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের ননএমপিও কলেজগুলো সর্বোচ্চ ৬ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের ননএমপিও কলেজগুলো ৩ হাজার টাকা ও ইংরেজি ভার্সনের নন এমপিও কলেজগুলো ৪ হাজার টাকা ফি নিতে পারবেন। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সন ননএমপিও কলেজ ২ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন ননএমপিও কলেজ ৩ হাজার টাকা ফি নিতে পারবে।

অপরদিকে ঢাকা মেট্রোপলিটনের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনে ভর্তির ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ হাজার টাকা। ঢাকা ছাড়া অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকার এমপিওভুক্ত কলেজগুলো বাংলা ও ইংরেজি ভার্সনের সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। জেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনের এমপিওভুক্ত কলেজ ও ইংরেজি ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ২ হাজার টাকা ফি নিতে পারবেন। আর উপজেলা পর্যায়ের বাংলা ভার্সনে এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ও ইংরেজি ভার্সন এমপিওভুক্ত কলেজ ১ হাজার ৫০০ টাকা ফি নিতে পারবে।

কলেজে ভর্তিতে থাকছে না জুলাই কোটা, নীতিমালা প্রকাশ

নীতিমালায় জুলাই যোদ্ধাদের জন্য কোনো কোটা নেই। মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা রয়েছে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ৩০ জুলাই। এ কার্যক্রম চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এ ছাড়াও মূল ভর্তি কার্যক্রম হবে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর। নীতিমালায় জুলাই যোদ্ধাদের জন্য কোনো কোটা নেই।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে প্রকাশিত নীতিমালা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, কলেজ-সমমানের প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজ-সমমানের প্রতিষ্ঠানের ৯৩ শতাংশ আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে যা মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১ শতাংশ এবং অধীনস্থ দপ্তর-সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সন্তানদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশসহ মোট ২ শতাংশ আসন মহানগর, বিভাগীয় ও জেলা সদরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য ন্যূনতম যোগ্যতা থাকা সাপেক্ষে সংরক্ষিত থাকবে। যদি আবেদনকারীর সংখ্যা বেশি হয় সেক্ষেত্রে তাদের নিজেদের মধ্যে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির সুযোগ পাবে।

আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্তৃক দপ্তর প্রধানের প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নিজস্ব দপ্তরের প্রধান হলে সেক্ষেত্রে তার একধাপ ওপরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রত্যয়নপত্র দাখিল করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা-শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যার ভর্তির জন্য ৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। মুক্তিযোদ্ধা-শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যাদের আসন নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রমাণপত্র-গেজেটের সত্যায়িত কপি আবেদপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে এবং ভর্তির সময় মূল কপি প্রদর্শন করতে হবে।

এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যুকৃত মুক্তিযোদ্ধা সনদ যথাযথভাবে যাচাই করে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। মুক্তিযোদ্ধা-শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পুত্র-কন্যা পাওয়া না গেলে মেধা তালিকা থেকে এই আসনে ভর্তি করতে হবে। কোনো অবস্থায় আসন শূন্য রাখা যাবে না।

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ

মূল ভর্তি কার্যক্রম হবে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।

২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কলেজ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ৩০ জুলাই অনলাইনে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ কার্যক্রম চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এ ছাড়াও মূল ভর্তি কার্যক্রম হবে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রকাশ করে।

কলেজে ভর্তিতে থাকছে না জুলাই কোটা, নীতিমালা প্রকাশ

নীতিমালায় বলা হয়েছে, যারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবে, আবেদনের যোগ্য হলে তাদেরও এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনগুলো শিক্ষার্থীর পছন্দক্রম অনুযায়ী অটো মাইগ্রেশন প্রযোজ্য।

আবেদন যাচাই, বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি ১২ আগস্ট। শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণে ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন ১৩-১৪ আগস্ট। পছন্দক্রম পরিবর্তনের সময় ১৫ আগস্ট। ১ম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ ২০ আগস্ট রাত ৮ টায়।

শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন ফল প্রকাশের পর থেকে ২২ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ১ম পর্যায়ের নির্বাচন এবং আবেদন বাতিল হবে এবং তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে)। ২য় পর্যায়ে আবেদন ২৩-২৫ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ২৮ আগস্ট রাত ৮টায়। ২য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ ২৮ আগস্ট রাত ৮টায়।

২য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন ২৯-৩০ আগস্ট রাত ৮ টা পর্যন্ত (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ২য় পর্যায়ের নির্বাচন এবং আবেদন বাতিল হবে এবং তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে)। ৩য় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত।

 কলেজে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ফি সাড়ে ৮ হাজার

পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। ৩য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ ৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। ৩য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ৩য় পর্যায়ের নির্বাচন এবং আবেদন বাতিল হবে)।

সর্বশেষ মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টা, ভর্তি ৭-১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ক্লাস শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর। উল্লেখ্য অনলাইন ব্যতীত ম্যানুয়ালি কোনো ভর্তি কার্যক্রম করা হবে না।

ভর্তির যোগ্যতা ও বিভাগ নির্বাচন সম্রপর্কে বলা হয়েছে, যে কোনো শিক্ষাবর্ষে এসএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের খ্রিষ্টাব্দ এবং ধারাবাহিকভাবে পূর্ববর্তী দুই খ্রিষ্টাব্দে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনো কলেজ-সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।

বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান হতে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক তার সনদের মান নির্ধারণের পর উল্লিখিত শর্তের অধীনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।

 

ভর্তির আবেদনে একজন প্রার্থী যেভাবে বিভাগ নির্বাচন করতে পারবেন: বিজ্ঞান বিভাগ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ এর যে কোনটি। মানবিক বিভাগ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের যে কোনটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ এর যেকোনটি। যেকোনো বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ইসলামী শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত বিভাগ এর যে কোনটি।

বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ এর যে কোনটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ ব্যতীত যে কোনটি।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যে কোন বিভাগে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।

 

কোন কলেজে কেন পছন্দ করবেন, কেন ভর্তি হবেন?

একাদশে ভর্তির কলেজ বাছাইয়ে দ্বিধায় আছেন? তাহলে আপনার সহায়ক হতে পারে দৈনিক শিক্ষাডটকম কলেজ র‌্যাঙ্কিং। প্রথমবারের মতো রাজধানীর উচ্চ মাধ্যমিক কলেজগুলোকে নিয়ে এই র‌্যাঙ্কিং করেছিল দৈনিক শিক্ষাডটকম। তাতে ৮৫ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে আইডিয়াল বা এ প্লাস ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছিল সাতটি কলেজ। আর ৭৫ থেকে ৮৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে খুব ভালো বা এ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছিল ৩৬টি কলেজ। একাদশে ভর্তির জন্য একনজরে দেখে নিন সেই র‌্যাঙ্কিংয়ের ফল।

 

এ প্লাস ও এ ক্যাটাগরির কলেজগুলো নাম দেখুন :

কলেজ র‌্যাঙ্কিংয়ে ৮৫ শতাংশেরও বেশি নাম্বার পেয়ে এ প্লাস বা আইডিয়াল ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে সাতটি কলেজ। নটর ডেম কলেজ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, হলিক্রস কলেজ, ঢাকা কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ ও সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।

এছাড়া ৭৫ থেকে ৮৪ শতাংশ নাম্বার পেয়ে খুব ভালো বা এ ক্যাটাগরিতে ৩৬টি, ৬৫ থেকে ৭৪ শতাংশ নাম্বার পেয়ে বি ক্যাটাগরিতে (ভালো) ১৯টি এবং ৫০ থেকে ৬৪ শতাংশ নাম্বার পেয়ে সি ক্যাটাগরিতে সাতটি কলেজ স্থান পেয়েছে। ৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত সরেজমিন জরিপে ৫০ শতাংশের নিচে নাম্বার পেয়ে ডি ক্যাটাগরিতে স্থান পাওয়ার মতো কোনো কলেজ পাওয়া যায়নি।

এ ক্যাটাগরিতে স্থান পাওয়া কলেজগুলো হলো- ভিকারুননিনা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল; সরকারি বাঙলা কলেজ, লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ, তেজগাঁও কলেজ; মিরপুর কলেজ, উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হামদর্দ পাবলিক কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি (স্কুল অ্যান্ড কলেজ), শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ; উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিসিআইসি কলেজ, হারুন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ, মিরপুর বিজ্ঞান কলেজ, মিরপুর বাঙলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আহছানিয়া মিশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দুয়ারিপাড়া সরকারি কলেজ, সরকারি রূপনগর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গুলশান কমার্স কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ; ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজ, লালবাগ সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবং সিদ্ধেশ্বরী কলেজ।

বি ক্যাটাগরির কলেজগুলো হলো- উত্তরা ইউনাইটেড কলেজ, তেজগাঁও মহিলা কলেজ, ঢাকা উইমেন্স কলেজ, মাইল স্টোন কলেজ, আইডিয়াল কলেজ (ধানমন্ডি), সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ, আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, বশির উদ্দিন আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পল্লবী ডিগ্রি কলেজ, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, সবুজবাগ সরকারি কলেজ, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ, আবুজর গিফারি কলেজ, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন কলেজ, রামপুরা একরামুন্নেছা ডিগ্রি কলেজ ও ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ।

সি ক্যাটাগরিতে আছে- পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, খিলগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নতুন পল্টন লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এইচ আর মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, হাজি সেলিম ডিগ্রি কলেজ এবং ড. মালিকা কলেজ।

কলেজগুলোর কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পৃথক প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শন ও জরিপের মাধ্যমে এই র‌্যাঙ্কিং চূড়ান্ত করা হয়। দেশের শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র পরিপূর্ণ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দেশের শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা এ জরিপ কাজ পরিচালনা করে। জরিপ কাজে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) এক দল উদ্যমী ও মেধাবি শিক্ষার্থী।

জরিপে কলেজগুলোর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির হার, পাসের হার ও ফলাফল, ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত অ্যাকটিভিটিজ, খেলার মাঠ, পাঠাগার, ক্লাব অ্যাকটিভিটিজ ইত্যাদি ২১টি মানদণ্ডের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মূল্যায়ন নেওয়া হয়।

চুকনগর গণহত্যা (২০ মে ১৯৭১): 💀 ৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত।

🟥 চুকনগর গণহত্যা (২০ মে ১৯৭১):
পৃথিবীর ইতিহাসে একদিনে সবচেয়ে বেশি হত্যাকাণ্ডের ভয়াবহ দলিল!
📍 অবস্থান: চুকনগর বাজার ও পাতখোলা বিল, ডুমুরিয়া উপজেলা, খুলনা
📅 তারিখ: ২০ মে, ১৯৭১
🕚 সময়: সকাল ১১টা – বিকেল ৩টা
☠️ হত্যাকৃত মানুষ: আনুমানিক ১০,০০০ থেকে ১২,০০০+
👥 ভুক্তভোগীরা: খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নড়াইল, কেশবপুরসহ আশেপাশের অঞ্চলের নিরীহ, নিরস্ত্র নারী-পুরুষ-শিশু
________________________________________
🔻 গণহত্যার পটভূমি:
১৯৭১ সালে মে মাসের শুরু থেকেই পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী নৃশংস অভিযান শুরু করে। হাজার হাজার পরিবার প্রাণ বাঁচাতে ভারতের দিকে পালিয়ে যেতে থাকে।
এইসব উদ্বাস্তু মানুষদের এক বড় অংশ জমায়েত হয় চুকনগরের ভদ্রা নদীর তীরে, যা ছিল সীমান্তঘেঁষা ভারতের দিকে যাবার একটি ‘ট্রানজিট পয়েন্ট’।

🔻কিন্তু ভাগ্য ছিল নির্মম!
১৯৭১ সালের ২০ মে সকাল ১১টার দিকে, সাতক্ষীরা থেকে আসা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ২টি দল (ট্রাক ও জিপে) চুকনগর ও পাতখোলা বিলে ঢুকে গুলি চালানো শুরু করে।
তারা গুলি চালাতে চালাতে চুকনগর বাজারের ভেতর পর্যন্ত ঢুকে পড়ে এবং নির্বিচারে নারী, পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ— কাউকে ছাড়েনি।
________________________________________


❗ হত্যাযজ্ঞের প্রকৃতি:
🧨 অস্ত্র ব্যবহৃত হয়:
• LMG (Light Machine Gun)
• SLR (Self Loading Rifle)
• SMG (Submachine Gun)
• ব্রেন গান এবং হ্যান্ড গ্রেনেড

💀 ৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০ হাজারের বেশি মানুষ নিহত।

🩸 লাশ পড়ে থাকে চুকনগরের পাতখোলা বিলে, ভদ্রা নদীর পাড়ে, কাদায়, বাঁশঝাড়ে।

🛶 অনেক লাশ নদীতে ভেসে যায়; কুকুর, শকুনে খেয়ে ফেলে— দাফন হয়নি অধিকাংশ শহীদের।

🟥 ভদ্রা নদীর পানি সেদিন রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল।

________________________________________
👁️ প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনা:
• 🗣️ নিতাই গাইন (প্রত্যক্ষদর্শী):
“১০ হাজারের উপরে লোক মারা গেছে। গুলি করে তাদেরকে বিলে ফেলে দেয়।”
• 🗣️ এরশাদ আলী মোড়ল:
“গুলির শব্দে চারদিক কেঁপে উঠেছিল, মানুষজন ঘর ছেড়ে পালায়, কেউ বাঁচেনি।”
________________________________________
📚 গবেষক ও মুক্তিযোদ্ধাদের অভিমত:
• 🧠 হিলাল ফয়েজী (প্রধান সমন্বয়ক, আমরা একাত্তর):
“৩–৪ ঘণ্টায় পৃথিবীর ইতিহাসে এতো বিশাল সংখ্যক মানুষ হত্যার অন্য উদাহরণ নেই।”
• 🧠 অধ্যক্ষ এবিএম শফিকুল ইসলাম (সভাপতি, চুকনগর গণহত্যা ’৭১ স্মৃতি রক্ষা পরিষদ):
“যুদ্ধাপরাধের সব প্রমাণ— হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ— এখানে ঘটেছে। এটা আন্তর্জাতিকভাবে জেনোসাইড ঘোষণা হওয়া উচিত।”

🔗 চুকনগর কেবল একটি নাম নয় – এটি একটি রক্তাক্ত ইতিহাস। এটি জাতিগত নিধনের ভয়াবহ দলিল, যা নতুন প্রজন্মকে জানতে হবে, বুঝতে হবে এবং স্মরণে রাখতে হবে।
 

বুয়েটে ৪-এ ৪, এমআইটিসহ বিশ্বসেরা ৩ বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স, পৃথিবী ছাড়া সৌম্য কেন বললেন—‘আমার আমেরিকান স্বপ্ন মৃত’

দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহার উৎসব, কিন্তু এর মাঝেই একটি পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। শুধু একটি পরিবার বললে ভুল, বিদেশ পড়ুয়া গোটা কমিউনিটি শোকার্ত মেধাবী এক তরুণের মৃত্যুতে। কানাডার ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়ার পাশের একটি লেক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তার নিথর দেহ। নাম শাশ্বত সৌম্য—বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও পরবর্তীতে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) প্রাক্তন শিক্ষার্থী।

একজন স্বপ্নবাজ, প্রতিভাধর তরুণ। যার প্রতিটি পদক্ষেপই যেন ছিল নিখুঁত; যার চোখে ছিল বিশ্বজয়ের আকাঙ্ক্ষা। ৪.০০ স্কেলের মধ্যে ৪.০০ সিজিপিএ পেয়ে বুয়েটের সিএসই বিভাগ থেকে স্নাতক শেষ করেছিলেন, যা ছিল অত্যন্ত বিরল ও প্রশংসনীয় অর্জন। এরপর মিলেছিল এমআইটির মতো উচ্চশিক্ষার স্বপ্নদ্বার, এমনকি কার্নেগী মেলন ও প্রিন্সটন থেকেও অফার পেয়েছিলেন। কিন্তু এমন একজন মেধাবী তরুণ কীভাবে হঠাৎ করেই থমকে গেলেন?

শিক্ষাজীবন থেকে জানা যায়, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্র ছিলেন শাশ্বত সৌম্য। সেখানেই সপ্তম শ্রেণিতে গণিতে অনেক কম নম্বর পাওয়ার পর পড়াশোনার প্রতি মনোযোগী হতে শুরু করেন। আইডিয়াল থেকে স্কুলজীবন ও নটরডেম কলেজে থেকে উচ্চমাধ্যমিক পড়াশোনা শেষ করে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন বুয়েটের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে। এর আগে গণমাধ্যমে এক সাক্ষাৎকারে ছোটবেলা থেকেই সংগীতের ভুবনে বিচরণ করা শাশ্বত সৌম্য বুয়েটে কাটানো সময় নিয়ে বলতে গেলেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তার গান গাওয়ার স্মৃতিগুলো রোমন্থন করেন। তিনি নটরডেম 'কালচারাল ক্লাব' এবং 'বুয়েট-মূর্ছনার' হয়ে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। পড়াশুনার বাইরে এসব কাজে যুক্ত থেকেও তিনি নিজ ব্যাচে তৃতীয় হয়ে স্নাতক শেষ করেন। 

এমআইটির সাথে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিশ্বের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়—কার্নেগী মেলন ও প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও অফার পাওয়া শাশ্বত সৌম্য বলেছিলেন, ‘বিশ্বের সেরা এইসব বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একাডেমিক রেজাল্ট কিংবা গবেষণাই নয়, তারা লেটার অব রেকমেন্ডেশন, স্টেটমেন্ট অব পারপাস (এসওপি), চাকরির অভিজ্ঞতা কিংবা ভাষার দক্ষতা—সবকিছু মিলিয়েই তারা আবেদনগুলোকে যাচাই করে। তাই সবার উচিত প্রতিটি অংশে নিজের সর্বোচ্চটাই দেওয়া।’ তার বক্তব্য, ‘বুয়েট সিএসই থেকে প্রথমবারের মতো এমআইটি, কার্নেগী মেলন ও প্রিন্সটন- তিন বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার পাওয়াটা স্বপ্নের মতো সুন্দর একটা অনুভূতি, যেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।’

শাশ্বত সৌম্য সম্প্রতি গিয়েছিলেন ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আন্তর্জাতিক রিসার্চ কনফারেন্সে অংশ নিতে। সেখানে বক্তব্যও দেন। তিনি জানান, “আমি জানি আমি যা করি তাতে আমি ভালো।” কনফারেন্স শেষে তাকে কাজের প্রস্তাবও দেওয়া হয়। তবে এরপরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন হতাশার সুরে। তিনি লিখেন, “The Great American Dream is Dead.” প্রশ্ন তোলেন যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত ‘ফ্রিডম’, ‘ইকুইটি’ ও ‘জাস্টিস’ নিয়ে। বলেছিলেন, এই দেশ এক সময় দক্ষ অভিবাসীদের ওপর দাঁড়িয়ে ছিল, আজ সেই দেশই অভিবাসীদের নিরুৎসাহিত করছে।

পোস্টে তিনি আরও লেখেন, “UBC-তে বক্তৃতার পর এখানকার NLP গবেষক দল আমাকে কিছুদিনের জন্য কাজ করার প্রস্তাব দেয়। এক রাত চিন্তা করে আমি রাজি হয়ে যাই। কিন্তু আমার অনেক কিছু নিয়ে ভাবতে হচ্ছে। আমার আমেরিকান স্বপ্ন মৃত এবং তা মৃতই থাকবে। যে দেশটা এক সময় দক্ষ অভিবাসীদের উপর দাঁড়িয়ে ছিল, এখন তারা সেসব অভিবাসীদের নিরুৎসাহিত করছে। মানুষ, সঠিক সিদ্ধান্ত নাও। পৃথিবী বদলে যাচ্ছে, আর যুক্তরাষ্ট্র তাদের আকর্ষণ হারাচ্ছে— বিশেষ করে তাদের কাছে যারা শুধু গবেষণা আর কাজ দিয়ে দুনিয়াকে বদলাতে চায়।” এই পোস্টের ক’দিন পরই তার মৃত্যুর খবর আসে। 

সহপাঠীরা বলছেন, এই মৃত্যু শুধুই একটি জীবন থেমে যাওয়া নয়, এটি আমাদের সমাজব্যবস্থা, সুযোগ-সুবিধা ও তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বড় প্রশ্ন তোলে। আমরা কী সত্যিই আমাদের মেধাবীদের ধরে রাখতে পারছি? তারা কি পাচ্ছে তাদের যোগ্য স্বীকৃতি, নাকি আশাভঙ্গ, অনিশ্চয়তা আর বৈষম্যের মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে সম্ভাবনার প্রদীপ? একটা সময়, বুয়েট ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক মঞ্চে গান গাইতেন তিনি। বন্ধুরা তাকে চিনত প্রাণচঞ্চল, আত্মবিশ্বাসী এক তরুণ হিসেবে। আবার সেই বন্ধুরাই আজ তার স্মৃতিচারণ করছেন চোখের জল ফেলে। তার এক বন্ধু, মাহমুদুল ইসলাম—যিনি বর্তমানে বুয়েটের শিক্ষক—বলছিলেন, “এই শূন্যতা ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়।”

BCS Jobs Bangladesh

বাংলাদেশে সরকারি প্রশাসনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ শাখায় জনবল নিয়োগের অন্যতম প্রধান পদ্ধতি হলো বিসিএস (বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস) পরীক্ষা। এই প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (BPSC)। প্রতিবছর হাজার হাজার প্রার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেন বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের লক্ষ্যে।

✅পরীক্ষার ধাপ ও কাঠামো:

বিসিএস পরীক্ষা তিনটি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়:

✔ প্রিলিমিনারি (MCQ): একঘণ্টার ২০০ নম্বরের পরীক্ষা।

✔ লিখিত পরীক্ষা: নির্ধারিত বিষয়ের উপর বিস্তারিত প্রশ্ন, ক্যাডারভেদে নম্বর ও বিষয় পরিবর্তন হতে পারে।

✔ মৌখিক পরীক্ষা (ভাইভা): ২০০ নম্বরের সরাসরি সাক্ষাৎকার।

এই ধাপগুলো পার হয়ে প্রার্থীরা বিভিন্ন ক্যাডারভিত্তিক চাকরির জন্য নির্বাচিত হন।

🎓 বিসিএস ক্যাডারভিত্তিক চাকরির ধরন

বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী ২৬টিরও বেশি ক্যাডারে নিয়োগ পায়। এর মধ্যে প্রধান বিভাগগুলো হলো:

✓ ১. প্রশাসন ক্যাডার (BCS Administration)

চাকরি ক্ষেত্র: জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা

দায়িত্ব: প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা, সরকারি আদেশ বাস্তবায়ন, নীতি প্রণয়ন সহায়তা

✓ ২. পুলিশ ক্যাডার (BCS Police)

চাকরি ক্ষেত্র: এএসপি (সহকারী পুলিশ সুপার) থেকে শুরু করে পরবর্তীতে পুলিশ কমিশনার বা ডিআইজি

দায়িত্ব: আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ দমন, গোয়েন্দা কার্যক্রম

✓ ৩. স্বাস্থ্য ক্যাডার (BCS Health)

চাকরি ক্ষেত্র: সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মেডিকেল অফিসার

দায়িত্ব: রোগী সেবা, স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা, টিকাদান প্রোগ্রাম ইত্যাদি

✓ ৪. শিক্ষা ক্যাডার (BCS General Education / Technical Education)

চাকরি ক্ষেত্র: সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা

দায়িত্ব: পাঠদান, পরীক্ষা গ্রহণ, শিক্ষা গবেষণা

✓ ৫. পররাষ্ট্র ক্যাডার (BCS Foreign Affairs)

চাকরি ক্ষেত্র: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বৈদেশিক মিশনে

দায়িত্ব: কূটনৈতিক সম্পর্ক রক্ষা, বিদেশে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ

✓ ৬. কর ও কাস্টমস ক্যাডার (Tax, Customs & VAT)

চাকরি ক্ষেত্র: এনবিআর-এর অধীন কর অফিস, শুল্ক স্টেশন

দায়িত্ব: রাজস্ব আদায়, কর নিরীক্ষণ, কাস্টমস পরিদর্শন

✅ অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ক্যাডার:

✓ অডিট ও হিসাব ক্যাডার

✓ অর্থনৈতিক ক্যাডার

✓ বন ক্যাডার

✓ কৃষি ক্যাডার

✓ প্রকৌশল ক্যাডার (সিভিল, ইলেকট্রিক্যাল ইত্যাদি)

🏢 সরকারি অধিভুক্তি ও নিয়োগ পদ্ধতি

বিসিএস ক্যাডারগণ সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের অধীনে কাজ করেন। নিয়োগপ্রাপ্তরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর বা মন্ত্রণালয়ে পদায়ন পান।

নিয়োগপত্র পাওয়ার পর ক্যাডার অনুযায়ী ট্রেনিং দেওয়া হয়, যেমন:

✅প্রশাসন ক্যাডারের জন্য পিএটিসি (PATC)

✅পুলিশ ক্যাডারের জন্য বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি

✅স্বাস্থ্য ক্যাডারের জন্য মেডিকেল ইন্টার্নশিপ/অরিয়েন্টেশন

💰 বেতন ও সুযোগ-সুবিধা (২০২৫ অনুযায়ী পরিস্থিতি)

বর্তমান জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসারে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত বিসিএস ক্যাডারের মূল বেতন সাধারণত ২২,০০০ টাকা থেকে শুরু হয়। বিভিন্ন ভাতা (বাড়িভাড়া, চিকিৎসা, মোবাইল বিল, উৎসব ভাতা) যুক্ত হয়ে হাতে আসে মোট বেতন আনুমানিক ৪০,০০০–৫০,০০০ টাকার মধ্যে।

পদোন্নতি ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই বেতনক্রম ধাপে ধাপে বাড়ে।

📌 সরকারি ক্যাডার চাকরির কিছু বিশিষ্ট দিক:

✔চাকরির নিরাপত্তা ১০০%

✔সরকারি বাসা অথবা বাড়িভাড়া ভাতা

✔চিকিৎসা সুবিধা

✔উৎসব বোনাস (ঈদ, পূজা)

✔ইনক্রিমেন্ট ও পদোন্নতির সুযোগ

✔পেনশন ও অবসরকালীন গ্র্যাচুইটি

✔বিশেষ প্রশিক্ষণের সুযোগ (দেশে ও বিদেশে)

বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে ক্যাডারভিত্তিক সরকারি চাকরি পাওয়া শুধু একটি চাকরি অর্জন নয়, বরং জাতির সেবা করার একটি মহৎ সুযোগ। একজন বিসিএস ক্যাডার হিসেবে প্রার্থীরা দেশের উন্নয়ন, প্রশাসনিক দক্ষতা ও জনসাধারণের কল্যাণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।

আপনি BCS পরিক্ষা দিয়ে যে চাকরি পাবেন তাতে আপনি সচ্ছল ভাবে জীবন চালাতে পারবেন , আপনার এই সেবাই বাংলাদেশ আপনার থেকে চাহিবে। আপনি এই পেশায় কখনই অনেক ধনী হতে পারবেন না। কিন্তু আপনি যদি ঘুষ ও দুর্নীতি করেন , আপনার পোস্টের ভুল ব্যাবহার করেন , মানুষ ও দেশের সম্পন লুট করেন, কন্ট্রাকটর থেকে প্রোজেক্ট এর টাকার ভাগ নেন তবে কিছু অবৈধ টাকার মালিক হতে পারবেন। দেশ ও দশের স্বার্থে এই ধরনের ঘৃণ্য মানুষদের রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক শাস্তি দাওয়া উচিত সে যে পদের ই হোক না কেন , কারণ এই শ্রেণীর মানুষ তার মা কে লুট করে।

বাংলাদেশে এমন নিয়ম করা দরকার যাতে প্রথম গ্রেড থেকে ২০তম গ্রেডের কোন কর্মচারী দুর্নীতি করতে না পারে । যেকোনো সরকারি কর্মচারী, তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ হয় তার বাসার মধ্যে রাখে, অথবা তার পরিবারের অথবা শ্বশুরবাড়ির কারো নামে সম্পদে রূপান্তরিত করে রাখে, অথবা বড় এমাউন্ট হলে ছেলে মেয়ে বা বউকে বিদেশে পাঠিয়ে সেখানে পাচার করে রাখে ।

এজন্য প্রতিটি সরকারি কর্মচারীকে সার্বক্ষণিক তদারকির মধ্যে রাখতে হবে যাতে তারা কোন অবস্থাতে দুর্নীতি করতে না পারে। শুধু এটুকু করতে পারলেই একটি ভালো দেশ বানানো সম্ভব। শুধু এটুকু নিশ্চিত করতে হবে যেকোনো সরকারি কর্মচারী ন্যায় এবং নিষ্ঠার সাথে তার দায়িত্ব কর্তব্য পালন করে, আর না হলে তাকে চাকরিতে অব্যাহত দিতে হবে। যখনই কারো মাথায় এই জিনিস ঢুকবে যে তার চাকরি কখনোই যাবে না তখনই সে অপরাধী লিপ্ত হবে, এইটা মানুষের বাজে ধর্ম । চলুন একটি দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ি, এটি স্বপ্ন নয় এটি বাস্তবে করা সম্ভব। অবশ্যই সম্ভব। আমরা বাংলাদেশ থেকে ভেগে যেতে চায় না, এই দেশটাকে সুন্দর করে গড়তে চাই ।

Barun Kanti Ghosh

Visit For SSC and HSC Best Quality Courses-

https://ensiner.com

‘ক্লাসের প্রত্যেক পরীক্ষায় প্রথম হতো ধ্রুব’, নটর ডেমের সেই ছাত্রের মা

‘আমার ছেলে ক্লাসের প্রত্যেক পরীক্ষায় প্রথম হতো। ছোট থেকেই মেধাবী, নম্র, ভদ্র স্বভাবের। কোনো দিন কিছু নিয়ে আমার সঙ্গে জেদ করেনি। লেখাপড়ার প্রতি ছিল তার খুবই মনোযোগ।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে এভাবেই সন্তান হারানোর শোকে বিলাপ করছিলেন ধ্রুবব্রত দাসের মা তমা রানী সিং।

গতকাল বেলা ৩টার দিকে ঢাকার মতিঝিলে নটর ডেম কলেজের ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে মারা যান গাইবান্ধা শহরের মধ্যপাড়ার বাণীব্রত দাস চঞ্চলের ছেলে ধ্রুবব্রত দাস। আজ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা থেকে তার মরদেহ আনা হয়েছে। এ সময় কান্না মুখে আহাজারি করতে দেখা যায় তাকে। 

আহাজারির একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল ছেলেকে চিকিৎসক বানাব। কল্পনাও করতে পারছি না, আমার ছেলেটা এভাবে মারা যাবে। সে পরীক্ষার রেজাল্ট আনতে গিয়ে লাশ হয়ে ঘরে ফিরবে।’

 

এদিকে ধ্রুবকে শেষবারের মতো দেখতে ভিড় করেছেন আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিবেশীরা। সহপাঠীরা কান্নাকাটি করছেন।

ধ্রুবর মা বলেন, ‘গাইবান্ধা সরকারি বালক বিদ্যালয় থেকে এসএসসিতে “এ” প্লাস নিয়ে পাস করে ধ্রুব। ছেলেকে মানুষের মতো মানুষ করতে আমরা ঢাকা গিয়েছি। সেখানে নটর ডেম কলেজে তাকে ভর্তি করেছি। বিদ্যালয়ে বরাবরই ভালো রেজাল্ট করত সে। এবার ওই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল।’ 

তিনি বলেন, ‘সোমবার (১২ মে) বাবার সঙ্গে টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্টের কার্ড আনতে গিয়ে আমার ছেলে লাশ হলো। আমার ছেলে ভবন থেকে পড়ে গেছে না কি ষড়যন্ত্র করে ফেলে দেওয়া হয়েছে, সেটি অজানা।’

ধ্রুবব্রত দাসের স্বজন সঞ্জিত রায় মুক্তি বলেন, ‘ধ্রুবকে তার বাবা কলেজে নিয়ে যেতেন, ক্লাস শেষে আবার নিয়ে আসতেন। অন্য ছেলেদের থেকে সে আলাদা। পড়ালেখা ছাড়া অন্য কিছু সে করত না।’

উল্লেখ্য, কলেজের ভবন থেকে পড়ে গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ: ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

🏥 ঢাকা মেডিকেল কলেজ: ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
লেখক: বরুণ কান্তি ঘোষ

বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার অগ্রদূত এবং স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রস্থল হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি)। ইতিহাস, ঐতিহ্য, চিকিৎসা শিক্ষা এবং জনসেবায় এর অবদান দেশের স্বাস্থ্যখাতে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এই প্রবন্ধে তুলে ধরা হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব দিক।

🔹 ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠা:
ঢাকা মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই, প্রাথমিকভাবে মাত্র ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সরকার স্বাস্থ্যখাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে এটি প্রতিষ্ঠা করে। শুরুতে মিটফোর্ড হাসপাতালেই ক্লাস হতো, পরে ১৯৫৫ সালে বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়।

🔹 বিভাগ ও শিক্ষাকাঠামো:
বর্তমানে কলেজে রয়েছে প্রায় ৪০টি বিভাগ, যেখানে পড়ানো হয় এমবিবিএস, বিডিএস, পোস্টগ্র্যাজুয়েট এবং ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম। প্রতি বছর প্রায় ২৩০ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হয়।

ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারী: ৭০,০০০+

মোট ছাত্রছাত্রী সংখ্যা: ১,৬০০+

শিক্ষক সংখ্যা: ৩০০+

প্রশিক্ষক ও রেসিডেন্ট: ১,২০০+


🔹 হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবা:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল।

মোট শয্যা: ২,৬০০+

দৈনিক বহির্বিভাগ রোগী: ১০,০০০+

ভর্তি রোগী: ৩,০০০+

ওয়ার্ড সংখ্যা: ১০০+

ICU: ৮টি ইউনিট

বার্ন ইউনিটে প্রতিদিন সেবা: ৪০০+ রোগী


🔹 আধুনিক প্রযুক্তি ও সেবা:
২৪/৭ জরুরি সেবা

ডিজিটাল এক্স-রে, সিটি স্ক্যান (৬৪ স্লাইস), এমআরআই (৩.০ টেসলা)

ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি

হেমোডায়ালাইসিস ইউনিট

টেলিমেডিসিন

ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড (EMR)


🔹 চিকিৎসকদের আচরণ ও সেবা মনোভাব:
কনসালট্যান্ট: ৫০০+

ইন্টার্ন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডাক্তার: ১২০০+

নার্স: ১,৫০০+
বেশিরভাগ চিকিৎসক পরিশ্রমী ও রোগীবান্ধব হলেও, রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় মাঝে মাঝে অপ্রত্যাশিত আচরণ দেখা যায়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেশাগত আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে।


🔹 জাতীয় সংকটে অবদান:
১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা মেডিকেলের ছাত্র-শিক্ষকদের অসামান্য অবদান

২০২০ কোভিড-১৯ মহামারিতে ফ্রন্টলাইন হাসপাতাল

প্রায় ৩০০+ ডাক্তার ও নার্স সরাসরি কোভিড ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছেন


উপসংহার:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়—এটি জাতির চিকিৎসা ও মানবসেবার প্রতীক। প্রযুক্তির সঙ্গে চিকিৎসা, শিক্ষা ও মানবিকতা একত্রিত করে এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে, এটাই প্রত্যাশা।

 

ঢাবির বিজ্ঞান ইউনিটের ফলাফলে সেরা দশের সাতজনই এক কলেজের

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি প্রোগ্রামের বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এই ফলাফলে সেরা দশের সাতজনই একই কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়  এ বছর মোট পাস করেছে ৭ হাজার ৪৩৭ জন। এর মধ্যে বিজ্ঞান থেকে পাস করেছে ৬ হাজার ৯২২জন, মানবিক থেকে ৩৯৩ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ১২২ জন।

ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে সেরা দশের সাতজনই নটরডেম কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। তারা হলেন ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট ভর্তি প্রোগ্রামের বিজ্ঞান ইউনিটে বিজ্ঞানে প্রথম মাহমুদুল হাসান ওয়াসিফ, দ্বিতীয় মো. রেদওয়ান, চতুর্থ কাজী ফাহিন আবরাজ আবির, ষষ্ঠ স্থান সাজিদ আহসান, অষ্টম সাদ আহমেদ, নবম শাফকাত রহমান ও দশম তাসিন আহমেদ নিহাল।

নটরডেম কলেজে ছাড়া অন্যান্য কলেজ থেকে সেরা দশে আছেন যারা, তারা হলেন তৃতীয় আরিশা নাওয়ার, তিনি সরকারি এমসি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। বিজ্ঞানে পঞ্চম স্বপ্নীল দাস, তিনি সরকারি এম এম কলেজ খুলনার সাবেক শিক্ষার্থী ছিলেন। সপ্তম আদ্রিতা সাহা। তিনি ঢাকা কমার্স কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী। 

জানা যায়, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে বিজ্ঞান ইউনিটে এবার এক হাজার ৮৯৬টি আসনের বিপরীতে এক লাখ ৪৬ হাজার ৬৯৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে। প্রতি আসনের বিপরীতে লড়ে ৭৭ জন শিক্ষার্থী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান ইউনিটের অধীন বিজ্ঞান, জীববিজ্ঞান, ফার্মেসি, আর্থ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি অনুষদের বিভাগসমূহ এবং পরিসংখ্যান গবেষণা ও শিক্ষণ ইনস্টিটিউট, পুষ্টি ও খাদ্য বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি ইনস্টিটিউট এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট রয়েছে।

ঢাবির তিন ইউনিটের বিষয় পছন্দক্রম পূরণ শুরু, সাক্ষাৎকারের তারিখ প্রকাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ছাড়া বাকি তিন ইউনিটের বিষয় বরাদ্দ ফরম পূরণ শুরু হয়েছে। আগামী ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত এ প্রক্রিয়া চলবে। একই সঙ্গে সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রকাশ করা হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ব্যতীত অন্য সব ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির বিষয়ের পছন্দক্রম পূরণ করার সর্বশেষ তারিখ আগামী ১৬ এপ্রিল। শিক্ষার্থীদের পূরণকৃত বিষয়ের পছন্দক্রম ও শিক্ষার্থীদের সব ইউনিটের মেধাক্রম পর্যালোচনা করে সফট্ওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিষয় বরাদ্দ প্রদান করা হবে।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে সম্ভাব্য বিষয় বরাদ্দ প্রকাশ, জামানত বা আগাম টাকা পরিশোধের তারিখ ও সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য তারিখও দেওয়া হয়েছে। প্রতিবার বিষয় বরাদ্দ প্রকাশের সাথে সাথে বিজ্ঞপ্তি বা নির্দেশনা প্রকাশ করা হবে, যা সকলকে দেখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

বিষয় বরাদ্দ প্রকাশ ও সাক্ষাৎকারের সম্ভাব্য তারিখ- ১ম ধাপ ২১–২২ এপ্রিল ও সাক্ষাৎকার ২৫-২৬ এপ্রিল, ২য় ধাপ ২৯–৩০ এপ্রিল এবং  সাক্ষাৎকার ০২-০৩ মে, ৩য় ধাপ ০৬–০৭ মে এবং  সাক্ষাৎকার ০৯–১০ মে, চতুর্থ ধাপ ২৭ – ২৮ মে এবং সাক্ষাৎকার ৩০–৩১ মে। চূড়ান্ত ধাপা ১৬-১৮ জুন এবং  সাক্ষাৎকার ২০ জুন।

প্রতি ধাপের বিষয় বরাদ্দের সাথে ইউনিট অফিসের নোটিশে বিস্তারিত থাকবে। উল্লিখিত সময়সূচী বিভিন্ন অবস্থার কারণে পরিবর্তিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে তা যথাসময়ে প্রকাশ করা হবে।

ঢাবির নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর তারিখ ঘোষণা, চূড়ান্ত বিষয় বরাদ্দ জুনে

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য সব আসন পূর্ণ করে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত বিষয় বরাদ্দ আগামী জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহে প্রকাশ করা হবে। এরপর ২ জুলাই থেকে শুরু হবে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ক্লাস । বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রমের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ক্লাস শুরুর পর মাইগ্রেশনের মাধ্যমে বিষয় পরিবর্তন বা নতুনভাবে কোন বিষয় বরাদ্দ প্রদান করা সম্ভব নয়। তাই শিক্ষার্থী বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে সশরীরে হাজির হওয়ার পূর্বেই কয়েকটি ধাপে তার বিষয় বরাদ্দ বা মাইগ্রেশন সম্পন্ন করে চূড়ান্তভাবে বিষয় বরাদ্দ করা হয়। 

শিক্ষার্থীদের আগামী ২২ থেকে ২৬ জুনের মধ্যে বরাদ্দপ্রাপ্ত বিষয়সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা ইনস্টিটিউটে সশরীরে হাজির হয়ে ভর্তির আবেদন করতে হবে। তবে, নিজ অথবা পরিবারের কারও অসুস্থতাজনিত কারণে, দেশের বাইরে অবস্থানজনিত কারণে বা এরূপ কোনও যৌক্তিক কারণে (প্রমাণাদি জমা দিতে হবে) বিলম্বে ভর্তির ক্ষেত্রে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে শিক্ষার্থীকে ভর্তির কাজ সম্পন্ন করতে হবে।

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ব্যতীত সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ইতোমধ্যে প্রকাশ করা হয়েছে। ২৫ মার্চ হতে ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীরা তাদের বিস্তারিত তথ্যের ফরম পূরণ ও ভর্তিতে ইচ্ছুক বিষয়ের পছন্দক্রম অনলাইনে প্রদান করতে পারবেন।

 

ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থী ভর্তির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজ ভর্তিযোগ্য বিষয়ের তালিকা (বাংলা বর্ণক্রমে প্রদর্শিত) ডাউনলোড করে নিতে পারবে। অভিভাবক, শিক্ষক, শুভানুধ্যায়ীর সাথে পরামর্শ করে এই ফরমটিতে শিক্ষার্থী তার পছন্দের ক্রম আগে থেকে হাতে লিখে রাখলে অনলাইনে বিষয়ের পছন্দক্রম দেয়ার সময় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। 

একবার বিষয় পছন্দক্রম দিয়ে দেয়ার পর তা পরিবর্তনে আগ্রহী হলে শিক্ষার্থী নতুন করে ‘কোড’ সংগ্রহ করে নতুন ভাবে ফরমগুলো ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পূরণ করতে পারবে। তবে সেক্ষেত্রে যে ফরমটি সে ব্যবহার করতে চায়, সেটি স্বাক্ষর করে কেন্দ্রীয় ভর্তি অফিস, কক্ষ নং-২১৪, প্রশাসনিক ভবন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে হাজির হয়ে জমা দিতে হবে। জমা না দেয়া হলে প্রথম সম্পন্নকৃত ফরমটিই বিষয় বরাদ্দের সময়ে ব্যবহৃত হবে।

বিষয় পছন্দক্রম দেয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীকে তার নিজ আগ্রহের বিষয়ক্রম দেয়ার জন্য পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। একজন শিক্ষার্থী ‘একটি বিষয়’ তার মেধাক্রমে পাওয়া যাবে না মনে করে পছন্দক্রমে সেটি পিছনের ক্রমে রাখলে অনেক সময়ে তুলনামূলক কম নম্বর পাওয়া একজন শিক্ষার্থীর সেই বিষয় বরাদ্দ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই  ‘পাওয়া যাবে না’ এই ধারণার পরিবর্তে ‘আমি পড়তে চাই’ ধারণা ব্যবহার করে বিষয় পছন্দক্রম দেয়ার পরামর্শ দেয়া যাচ্ছে। তাতে শিক্ষার্থীর স্বার্থ সর্বোচ্চভাবে ব্যবহারযোগ্য হয়।

মেধাক্রম ও শিক্ষার্থীর বিষয়ের পছন্দক্রম অনুযায়ী মোট ৫টি ধাপে শিক্ষার্থীদের বিষয় বরাদ্দ দেয়া হবে। প্রতিটি ধাপে যে সব শিক্ষার্থী প্রথমবারের মতো একটি বিষয় বরাদ্দ পাবে, তারা নির্দিষ্ট জামানতের টাকা প্রদান করে যে ইউনিটের বিষয় বরাদ্দ পেয়েছে সেই ইউনিটে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মূল নম্বরপত্রসহ নির্দিষ্ট দিনে সাক্ষাৎকারে অংশগ্রহণ করবে। 

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকের মূল নম্বরপত্র সাক্ষাৎকারের সময় ইউনিট অফিস জমা রাখবে। প্রতিবার বিষয় বরাদ্দ প্রকাশের সাথে ইউনিট অফিস সমূহ সাক্ষাৎকারের সময়সূচী জানিয়ে অনলাইনে ভর্তির ওয়েবসাইটে নোটিশ প্রদান করবে। চূড়ান্ত বরাদ্দ বাদে অন্য কোন ধাপে বিষয় বরাদ্দ পাওয়ার পর একজন শিক্ষার্থীকে (ক) আগাম হিসেবে টাকা জমা দেয়া এবং (খ) সাক্ষাৎকারে মূল নম্বরপত্র জমা দেয়া এই দু'টি কাজ অবশ্যই পালন করতে হবে। 

যে কোন একটি পালন না করা হলে শিক্ষার্থীর বিষয় বরাদ্দ বাতিল হবে। পরবর্তী কোন বরাদ্দের সময় সেই শিক্ষার্থী আর বিবেচিত হবে না। চূড়ান্তভাবে বরাদ্দ পেলে শিক্ষার্থীকে ভর্তির সকল ফি (পরিশোধিত আগামের সাথে সমন্বয় করে) জমা দিয়ে সশরীরে বিভাগে ভর্তির জন্য হাজির হতে হবে।

ভর্তিযুদ্ধে জয়ী হতে ঢাবি ছাত্র সিফাতের গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ

দরজায় কড়া নাড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা। ইতিমধ্যে ভর্তিচ্ছুদের সকল প্রস্তুতি সমাপ্তির পথে। শেষ সময়ে সবকিছু গুছিয়ে কীভাবে পরীক্ষা শেষ করা যেতে পারে এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন ঢাবির রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত ইসলাম। 

ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণকালে শিক্ষার্থীদের করা ভুলগুলো নিয়ে বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা এ সময়ে অনেক বেশি চিন্তা করে এটি তাদের অনেক সময় নষ্ট করে। ফলে তাদের অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ার একটি সম্ভাবনা থাকে। আমি মনে করি পরীক্ষার আগের এ সময়ে মাথায় কোনো চিন্তা রাখা যাবে না। যতটুকু প্রস্তুতি নিয়েছি এর মধ্যেই ভালো পরীক্ষা দেওয়ার মানসিকতা রাখতে হবে।’ 

‘যে টপিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো যদি পড়া না থাকে তাহলে একবার করে পড়ে নেওয়া উচিত এবং এই পর্যন্ত যতটুকু পড়া হয়েছে এগুলোই বার বার রিভিশন দেওয়া এই সময়ের জন্য উপযুক্ত হবে বলে আমি মনে করছি।’  

‘ওই সময়ে চিন্তা ছিল আমার যত বন্ধু আছে তাদের চাইতে বেশি পড়বো। আমার চেষ্টায় যেন কোনো ধরনের ঘাটতি না থাকে। ঘুম এবং অন্যান্য দৈনন্দিন যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো কমিয়ে নিয়ে এসে আমি পড়ায় মনোযোগ দিয়েছি। একটা কথাই বলবো এ সময় চেষ্টার কোনো কমতি রাখা যাবে না।’

 

পরীক্ষার হলে কী কী সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত এমন প্রশ্নে সিফাত বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে কোনোভাবেই প্যানিক (ঘাবড়ে যাওয়া) হওয়া যাবে না। প্রথমে প্রশ্নটা হাতে নিয়ে যে বিষয়ে সবচেয়ে ভালো জানা আছে সেটা উত্তর করতে হবে। এছাড়াও প্রত্যেকটা প্রশ্ন ভালো করে পড়তে হবে। শুধুমাত্র টপিক কমন পড়েছে বলে অর্ধেক পড়েই অনুমান করে উত্তর দিয়ে দিবো এমনটা করা যাবে না। যে প্রশ্নগুলো পড়ে মনে হবে যে এটা একটু ভেবে উত্তর করতে হবে সেটা পরবর্তী সময়ের জন্য রেখে দিয়ে অন্য প্রশ্নে আগাতে হবে। অনেকে প্রশ্ন দেখে মনে করে আমি অনেক কম উত্তর করেছি;  আরও বেশি উত্তর করতে হবে তবে এখানে যে বিষয়টি খেয়াল করতে হবে এভাবে ভুল উত্তর করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ভুল উত্তরগুলোর জন্য কিন্তু সঠিক উত্তর থেকে নম্বর কাটা হয় ফলে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। পরীক্ষার সময় আমি যতটুকু পারি ততটুকুই উত্তর করবো এরকম একটা চিন্তা নিয়ে আসতে হবে। আন্দাজে দাগানো যাবে না কোনোভাবেই।’

ভর্তিচ্ছুদের মানসিক চাপ সামলানোর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষা জীবনের একটি অংশ এ ছাড়াও আরও অনেক কিছুই রয়েছে। এসময় অনেক হতাশা কাজ করে কিন্তু এটাকেই জীবনের উদ্দেশ্য করা বা জীবনের অর্থ বানানো মোটেও উচিত নয়। মনে রাখতে হবে এটি আমার জীবনের একটি অংশ। চান্স পাইনি বলে যে আমরা জীবনের কোনো অর্থ নেই এটা কোনোভাবেই চিন্তা করা যাবে না। জীবনের অনেক লক্ষ্য থাকে সেটা আমরা একভাবে না হলেও অন্যভাবে ঠিকই পূরণ করতে পারবো।’

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স না পাওয়াদের উদ্দেশ্যে সিফাত বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়াকে সমাজ এমনভাবে দেখায় যে মনে হয় এখানে চান্স না পেলে আমার জীবন শেষ। এই চিন্তাটি ছোট ছোট ছেলে-মেয়েদের মধ্যে দেওয়ার ফলে তারা হতাশায় ভোগে। এ হতাশা থেকেই অনেকে আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নেয়। সমাজের মানুষের কাছে আমার একটা আবেদন থাকবে ভর্তি পরীক্ষাকে আপনারা জীবনের একমাত্র অর্থ না দেখিয়ে এটাকে সহজভাবে নিন।’ 

একাধিক ইউনিটের প্রস্তুতির বিষয়ে রসায়নের এ ছাত্র বলেন, ‘আমি শুধু বিজ্ঞান ইউনিটের প্রিপারেশন নিয়েছিলাম। আমার মতে যার যে ইউনিটে দক্ষতা সবচেয়ে বেশি তার সেখানেই পরীক্ষা দেওয়া উচিত। যারা অসাধারণ রকমের শিক্ষার্থী রয়েছেন এরকম গুটিকয়েকজন নিজের সক্ষমতা অনুযায়ী চাইলে একাধিক ইউনিটের প্রস্তুতি নিতে পারেন।’ 

সবশেষ তিনি বলেন, ‘এই সময়ে বলবো তোমাদের যার কাছে যতটুকু সময় আছে এতোদিন যা পড়েছো তা ভালো করে রিভিশন দাও। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে বারবার চোখ বুলিয়ে নাও আশাকরি ভালো একটা ফলাফল করতে পারবে।’

মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার আগের দিন মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১৭ জানুয়ারি, শুক্রবার। পরীক্ষা একদমই সন্নিকটে বলা যায়। শেষ সময়ে পরীক্ষার প্রস্তুতির নানা কৌশল নিয়ে কথা বলেছেন শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী তুর্জয় কবীর। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিনহাজুল ইসলাম শান্ত

মেডিকেলে পড়বেন, এ স্বপ্ন কবে থেকে দেখা শুরু করেছিলেন?

তুর্জয় কবীর: একদম ছোটবেলা থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল মেডিকেলে পড়ার। ক্লাস ওয়ানের একটা ঘটনা বলি। আম্মু-আব্বু দুজনই তখন এনজিওতে চাকরি করত। কোনও এক দুপুরবেলা বৃষ্টিতে ভিজে স্কুটি চালিয়ে আম্মু বাসায় এসেছে লাঞ্চ করতে। কিন্তু আমি বাসার দরজা খুলব না। কারণ, আমাকে খেলনা ডাক্তারি সেট কিনে দেওয়া হয়নি, যেটা আমি কদিন আগে বাজারে দেখেছি। জিদ ধরেছি এখনই কিনে আনতে হবে, না হলে দরজা খুলব না। এরপর আম্মু বাধ্য হয়ে বৃষ্টির মধ্যে বাজারে গিয়ে কিনে আনল। এরপর আমি বাসার দরজা খুলি। বিষয়টা এখন যখন ভাবি, তখন অনেক হাসি পায়। আমার স্মৃতিতে ডাক্তারি পেশার প্রতি আগ্রহ ওই সময় থেকেই ছিল

এইচএসসি পরীক্ষার পর আপনি কীভাবে ভর্তি প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন, ভর্তি কোচিং কি একজন শিক্ষার্থীর জন্য জরুরি?

তুর্জয় কবীর: এইচএসসির সময় যে বিষয়গুলো কম গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে, সেগুলো নতুন করে পড়া শুরু করলাম। প্রথম কয়েক দিনেই Question Bank সমাধান করে ফেলেছিলাম। তাতে প্রশ্নের প্যাটার্ন সম্পর্কে একটা ধারণা হয়ে যায়। এরপর একটা কোচিংয়ে ভর্তি হই রংপুরে। আমি রংপুরে থাকি তখন। কোচিং করে যেটা বুঝেছি, পড়াশোনা সব নিজেই করতে হয়। কোচিং থেকে যে সুবিধা পাওয়া যায়, তা হলো পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে যাচাই করার সুযোগ। মডেল টেস্ট যত বেশি দেওয়া যাবে, তত পরীক্ষা দেওয়ার কৌশল উন্নত তবে। এ ছাড়া একটি ইতিবাচক প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব তৈরি হয়।

মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় ভীষণ প্রতিযোগিতা। অনেকে মানসিকভাবে প্রতিযোগিতা ভয় পায়। মানসিকভাবে হতাশ হয়ে যায়। নিজেকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করার উপায় কী মনে করেন?

তুর্জয় কবীর: ভাবনা থাকবে যে আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা আর পরিশ্রম করেছি, আমার অবশ্যই ভালো কিছু হবে৷ শুরু থেকেই যদি কেউ সিনসিয়ারলি আর টেকনিক্যালি পড়ে তাহলে ভালো কিছুর জন্য আশা করা যায়। পরীক্ষার আগের দিন মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। আগের দিন ভয় পেয়ে অনেকের পরীক্ষা খারাপ হয়ে যায়, যেটা হওয়া উচিত নয়। সেই সাথে সুস্থ থাকা খুবই জরুরি। নিজের মনকে শক্ত রেখে সাহসিকতার সাথে ঠাণ্ডা মাথায় পরীক্ষা দিতে হবে।

মেডিকেলে ভর্তির প্রস্তুতি হিসেবে ইংরেজি বা সাধারণ জ্ঞান অনেকে কম গুরুত্ব দেয়। এ দুটোতে ভালো করার উপায় কী?

তুর্জয় কবীর: সাধারণ জ্ঞানের জন্য Current affairs আর পত্রিকা পড়া খুবই প্রয়োজন। নিজেকে সম্প্রতি সকল ঘটনা নিয়ে Up to date থাকতে হবে। বিষয়টা তুলনামূলক কঠিন মনে হয় সবার ক্ষেত্রেই, কিন্তু পড়তে থাকতে হবে। ইংরেজিতে বিভিন্ন সময় আসা Exceptional Grammer-ভিত্তিক প্রশ্নগুলো আয়ত্ত করা জরুরি। সেক্ষেত্রে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিসিএসের প্রশ্নগুলো দেখতে হবে।

পরীক্ষার আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে আপনি কী কী করেছিলেন?

তুর্জয় কবীর: শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি হিসেবে বিভিন্ন মুখস্থনির্ভর তথ্যগুলো চোখ বুলিয়েছি। নতুন করে মুখস্থ করা বা মনে রাখার চেষ্টা বাদ দিয়ে শুধু বইয়ের পৃষ্ঠা উল্টিয়েছি।

প্রচুর পড়াশোনা করার পরও মেডিকেলে যদি কারও চান্স না হয়, তার জন্য আপনার কী পরামর্শ থাকবে?

তুর্জয় কবীর: কারও যদি কোনোভাবে চান্স না হয়ে থাকে এবং তার যদি প্রচণ্ড দৃঢ় ও প্রগাঢ় ইচ্ছা থাকে সে ডাক্তারই হবে, তাহলে সে পরের বছর চেষ্টা করতে পারে। তাও যদি না হয় তাহলে ভাবতে হবে যে স্রষ্টা আমার জন্য অন্য কিছু লিখে রেখেছেন।

৫ বছর ধরে মেডিকেলে থেকে আমি অনেককেই দেখেছি যে, চান্স পাওয়ার পরে মেডিকেলের পড়াশোনার বিশালতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। অনেকে মা-বাবার চাপে পড়ে মেডিকেলে পড়তে আসে। এজন্য নিজের আগ্রহের জায়গাটা বের করা জরুরি এবং সেদিকে এগিয়ে যাওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ।

পরিশেষে বলতে চাই, অধ্যবসায়, পরিশ্রম এবং দৃঢ় ইচ্ছা ধারণ করলে সাফল্য আসবেই। সবার জন্য শুভ কামনা।

ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের প্রস্তুতিতে যা করবেন, করবেন না

দরজায় কড়া নাড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা। ইতিমধ্যে ভর্তিচ্ছুদের সকল প্রস্তুতি সমাপ্তির পথে। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তিচ্ছুদের জন্য থাকছে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ যা তাদের এ যাত্রায় সহায়ক হিসেবে কাজ করতে পারে। 

প্রথমে মাথায় রাখতে হবে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ক্ষেত্রে ইংরেজি অনেক বড় ভূমিকা পালন করে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায়ই ইংরেজিতে নির্ধারিত নম্বর থাকে না তবে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের পরীক্ষায় ৫ নম্বর তুলতেই হয়। এজন্য ইংরেজি বিষয়ে একটাই টিপস, যত বেশি সম্ভব বিগত বছরের প্রশ্নে প্র্যাক্টিস করতে হবে। 

বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতির ক্ষেত্রে নিজের দুর্বলতার জায়গা চিহ্নিত করতে হবে। সেই বিষয়ে বেশি সময় দিতে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে। কে কীভাবে পড়ছে, বেশি পড়ছে না কম পড়ছে এসব তুলনায় না গিয়ে নিজের দিকে ফোকাস করাটা বেশি জরুরি। 

পরীক্ষার মধ্যে কিছুটা নার্ভাসনেস কাজ করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু অস্বাভাবিক হল অতিরিক্ত নার্ভাস হয়ে জানা জিনিসও ভুল করে আসা! এরকম মানুষের সংখ্যা নিতান্ত কম নয়। অনেকে ভর্তি পরীক্ষাটাকে ‘দেড় ঘণ্টার খেলা’ হিসেবে অভিহিত করেন। কথাটা ভুল নয়। ঠান্ডা মাথায় পরীক্ষা দিতে হবে। যেহেতু প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, সামান্য একটু ভুলও তোমাকে নিয়ে যেতে পারে তোমার স্বপ্ন থেকে অনেক অনেক দূরে।

সব বিষয়ই সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ইংরেজিতে আলাদাভাবে পাশ মার্ক তুলতে হয় তাই ইংরেজিতে একটু জোর দেয়া ভালো। এখানে বলে রাখা ভালো যে, পরীক্ষা হলে ইংরেজি অংশটা একদম শেষে উত্তর করার ব্যাপারটা যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ। কারণ, কোনোভাবে যদি সময় শেষ হয়ে যায় আর ইংরেজি থেকে নম্বর ছেড়ে আসতে হয় তাহলে পাশ করাটা অনেক কঠিন হয়ে যাবে।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, অনেকের মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে উচ্চমাধ্যমিকে মার্কেটিং পড়লে কি ফিন্যান্সের উত্তর করা যাবে? এর উত্তর হলো আপনি যে কোনোটাতেই উত্তর করতে পারবেন। এটি চান্স পাওয়ার পর বিষয় নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

বহুনির্বাচনী প্রশ্নের নেগেটিভ নম্বর থাকে এক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষার কোনো প্রশ্নই কারও শতভাগ কমন পড়ে না। এমন অনেক প্রশ্ন থাকে যা আমরা কখনও শুনি নি বা পড়ি নি। এধরণের প্রশ্নগুলো একেবারে এড়িয়ে যাওয়া উচিত। কখনও এমন প্রশ্ন আসে যা সম্পর্কে আমাদের পুরোপুরি না হলেও কিছুটা ধারণা রয়েছে; সেসব উত্তর করার চেষ্টা করে দেখা যেতে পারে। যেগুলো সম্পর্কে একেবারেই ধারণা নেই তা উত্তর করার দরকার নেই।

৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার সময় পরিবর্তন

কৃষি গুচ্ছভুক্ত সরকারি ৯টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময় পরিবর্তন করা হয়েছে। সংশোধিত সময় অনুযায়ী, ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টার পরিবর্তে একই দিনে বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।

আজ বুধবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যায় কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত ১৭ মার্চ অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি ৪র্থ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার এ সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।

জানা গেছে, আগামী ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য লড়বেন ২৫ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো হল: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ; গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর; শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা; পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী; চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম; সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট; খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ এবং কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, কুড়িগ্রাম।

 

১৯ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: সেলফি ও ছবি আপলোড নিয়ে নতুন নির্দেশনা

জিএসটি গুচ্ছভুক্ত দেশের ১৯টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি আবেদনকারীদের ছবি ও সেলফি আপলোডের জন্য আগামীকাল শুক্রবার (২৮ মার্চ) পর্যন্ত সময় দিয়েছে। যাদের ছবি ও সেলফি গৃহীত হয়নি, তাদের এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় তারা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন না। পরীক্ষায়ও অংশ নিতে না পেরে ভর্তি বঞ্চিত হবেন।

এবারের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ১৭ মার্চ রাত ১২টায়। গুচ্ছে আবেদন করেছেন ২ লাখ ৩৮ হাজার ভর্তিচ্ছু। ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এক বার্তায় বলা হয়েছে, যে সব আবেদনকারীর ছবি বা সেলফি গৃহিত হয়নি, তাদের অবশ্যই আগামী ২৮ মার্চের মধ্যে গ্রহণযোগ্য ছবি বা সেলফি আপলোড না করলে তারা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবে না। 

গত ১৮ মার্চ গুচ্ছের আহ্বায়ক ও মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (মাভাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল আজীম জানান, এবার প্রায় ২ লাখ ৩৮ হাজার ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। এর মধ্যে ইউনিট ‘এ’ বিজ্ঞান শাখায় আবেদন করেছেন ১ লাখ ৪৩ হাজার, ইউনিট ‘বি’ মানবিক শাখায় আবেদন করেছেন ৭২ হাজার ৪৫ জন। এছাড়াও ইউনিট ‘সি’ বাণিজ্য শাখায় ২৩ হাজার ৫৪ জন ভর্তিচ্ছু আবেদন করেছেন। 

পরীক্ষা কেন্দ্র হলো- ১. ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ২ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, টাঙ্গাইল ৩. পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী ৪. নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী ৫. জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ ৬. যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর ৭. বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর ৮. পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা ৯. গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, গোপালগঞ্জ ১০. বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল ১১ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙ্গামাটি ১২. রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ, সিরাজগঞ্জ ১৩. গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর ১৪, নেত্রকোণা বিশ্ববিদ্যালয়, নেত্রকোণা ১৫. জামালপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর ১৬, কিশোরগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ ১৭. চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চাঁদপুর ১৮. সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ ও ১৯. পিরোজপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পিরোজপুর ও ২০. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাপাসিটি সংখ্যক পরিমাণ)।

ভর্তি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে www.gstadmission.ac.bd ও গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।

SUST(শাবিপ্রবির) প্রথমবর্ষে ভর্তির তারিখ ঘোষণা

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তির তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী এপ্রিল থেকে নবীন শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। ভর্তি ফি, ভর্তি প্রক্রিয়া, ভর্তির জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, ভর্তির সময়সূচী ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়াদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে।

এর আগে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে অসঙ্গতি ধরার পড়ার পর ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ। প্রকাশিত ফলাফল সংশোধন করা না হলেও বাদ দেওয়া হয় ডুপ্লিকেট রোল। ওয়েবসাইটে বার্তায় বলা হয়েছে, শাবিপ্রবি ভর্তি পরীক্ষা ২০২৪-২৫ এর প্রকাশিত ফলাফলে কোনরূপ সংশোধন করা হয়নি। 

প্রকাশিত এ-১ ইউনিটের ক্রম তালিকায় ১২০০০ শিক্ষার্থীর ভর্তি রোল ছাড়াও কিছু শিক্ষার্থীর রোল দুইবার ছিল। রিভাইসড তালিকায় শুধু ডুপ্লিকেট রোলসমুহ বাদ দেয়া হয়েছে। গত ৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে এ ফলাফল প্রকাশিত হয়।

ডিপ্লোমা হোল্ডাররা টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করার জন্য প্রশিক্ষিত: বুয়েট শিক্ষার্থীদের বিবৃতি

সম্প্রতি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে পাশ করা ডিপ্লোমা গ্রাজুয়েটরা ৯ম গ্রেডের টেকনিক্যাল চাকুরিতে ডিপ্লোমা হোল্ডারদের জন্য কোটা সুবিধা ৩৩ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করার জন্য আন্দোলন শুরু করেছে। এই কোটা ও বিশেষ সুবিধার প্রতিবাদ জানিয়ে আজ শনিবার (২২ মার্চ) বিবৃতি প্রদান করেছে বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বিবৃতিতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আমরা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের কোটা ও বিশেষ সুবিধার দাবির বিরুদ্ধে আমাদের তীব্র প্রতিক্রিয়া ও দাবি জানাচ্ছি। এই বিষয়টি আমাদের সকলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি শুধু একটি দাবি নয়, বরং মেধার সঠিক মূল্যায়ন, ন্যায্য প্রতিযোগিতা এবং দেশের প্রকৌশল খাতে সমতার সংগ্রামের প্রশ্ন।

বিবৃতিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান আমাদের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। সেই সময় শিক্ষার্থীরা রাজপথে নেমে মেধার ভিত্তিতে সমান সুযোগের দাবি তুলেছিল। এই আন্দোলন কোটা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের ক্ষোভের প্রতিফলন হয়ে উঠেছিল, যার ফলে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটে এবং একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যায়। কিন্তু ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের পক্ষ থেকে উত্থাপিত কোটা ও বিশেষ পদোন্নতির দাবি এই আদর্শের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। আমরা, বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা, এই দাবিকে অযৌক্তিক, বৈষম্যমূলক এবং মেধার প্রতি অবিচার হিসেবে দেখছি।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং একটি কারিগরি শিক্ষা, যা টেকনিশিয়ান হিসেবে দক্ষতা অর্জনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি প্রকৌশলী হওয়ার পূর্ণাঙ্গ যোগ্যতা দেয় না। ডিপ্লোমা হোল্ডাররা টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করার জন্য প্রশিক্ষিত, এবং তাদের পেশাগত ভূমিকা ও মর্যাদা বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের সমান নয়। তবুও তারা সরকারি-বেসরকারি চাকরিতে প্রকৌশলী পদে নিয়োগ, পদোন্নতি এবং নামের আগে 'ইঞ্জিনিয়ার' শব্দটি ব্যবহারের দাবি করে আসছে। এটি মেধার সঠিক মূল্যায়নের পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এবং প্রকৌশল পেশার গৌরবকে ক্ষুণ্ন করে। আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই— 'No B.Sc. Engineering Degree, No Engineer'।

বিবৃতিতে তারা বলেন, নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা ছিল মেধার ভিত্তিতে সমতা ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করে বৈষম্য মুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠন করা। সেই আন্দোলনে শত শত শিক্ষার্থী তাদের জীবন দিয়েছেন, যাতে কোটা ব্যবস্থার মতো বৈষম্যমূলক প্রথা বিলুপ্ত হয় । ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের এই দাবি সেই শহিদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। তাই আমরা দেশের সকল বিএসসি ইঞ্জিনিয়ার ও শিক্ষার্থীদের আহ্বান করে দাবি করছি যে, ৯ম গ্রেডের 'সহকারী প্রকৌশলী' পদে শুধু বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়োগ দেওয়া হোক এবং এই পদে ডিপ্লোমা হোল্ডারদের জন্য ৩৩% 'পদোন্নতি কোটা বাতিল করা হোক,  ১০ম গ্রেডের 'উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে ১০০% ডিপ্লোমা কোটা বাতিল করে এটি বিএসসি ও ডিপ্লোমা—সবার জন্য উন্মুক্ত করা হোক। ডিপ্লোমা হোল্ডাররা ১০-২০ গ্রেডে টেকনিশিয়ান হিসেবে নিয়োগ পেতে পারেন এবং আইন করে নিশ্চিত করতে হবে যে, ডিপ্লোমা হোল্ডাররা নামের আগে 'ইঞ্জিনিয়ার' শব্দটি ব্যবহার করতে না পারেন।

সরকারের কাছে আরও আহ্বান জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কোটা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত করা হোক। এই বৈষম্যমূলক প্রথা দেশের প্রকৌশল খাতে মেধার প্রতিফলন ঘটতে দেয় না। আমরা চাই একটি ন্যায্য ও স্বচ্ছ ব্যবস্থা, যেখানে সবাই তাদের মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে প্রতিযোগিতা করতে পারে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। এটি কেবল প্রকৌশলীদের জন্য নয়, দেশের ভবিষ্যতের জন্যও অপরিহার্য।