একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ

মূল ভর্তি কার্যক্রম হবে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে কলেজ একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ৩০ জুলাই অনলাইনে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এ কার্যক্রম চলবে ১১ আগস্ট পর্যন্ত। এ ছাড়াও মূল ভর্তি কার্যক্রম হবে ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। আর ক্লাস শুরু হবে ১৫ সেপ্টেম্বর।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ এ নীতিমালা প্রকাশ করে।
কলেজে ভর্তিতে থাকছে না জুলাই কোটা, নীতিমালা প্রকাশ
নীতিমালায় বলা হয়েছে, যারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবেদন করবে, আবেদনের যোগ্য হলে তাদেরও এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদনগুলো শিক্ষার্থীর পছন্দক্রম অনুযায়ী অটো মাইগ্রেশন প্রযোজ্য।
আবেদন যাচাই, বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি ১২ আগস্ট। শুধুমাত্র পুনঃনিরীক্ষণে ফল পরিবর্তিত শিক্ষার্থীদের আবেদন ১৩-১৪ আগস্ট। পছন্দক্রম পরিবর্তনের সময় ১৫ আগস্ট। ১ম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ ২০ আগস্ট রাত ৮ টায়।
শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন ফল প্রকাশের পর থেকে ২২ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ১ম পর্যায়ের নির্বাচন এবং আবেদন বাতিল হবে এবং তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে)। ২য় পর্যায়ে আবেদন ২৩-২৫ আগস্ট রাত ৮টা পর্যন্ত। পছন্দক্রম অনুযায়ী ১ম মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ২৮ আগস্ট রাত ৮টায়। ২য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ ২৮ আগস্ট রাত ৮টায়।
২য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন ২৯-৩০ আগস্ট রাত ৮ টা পর্যন্ত (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ২য় পর্যায়ের নির্বাচন এবং আবেদন বাতিল হবে এবং তাকে পুনরায় ফিসহ আবেদন করতে হবে)। ৩য় পর্যায়ে আবেদন গ্রহণ ৩১ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা পর্যন্ত।
কলেজে ভর্তিতে সর্বোচ্চ ফি সাড়ে ৮ হাজার
পছন্দক্রম অনুযায়ী ২য় মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। ৩য় পর্যায়ের আবেদনের ফল প্রকাশ ৩ সেপ্টেম্বর রাত ৮টায়। ৩য় পর্যায়ের শিক্ষার্থীর নির্বাচন নিশ্চায়ন ৪ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা (শিক্ষার্থী নিশ্চায়ন না করলে ৩য় পর্যায়ের নির্বাচন এবং আবেদন বাতিল হবে)।
সর্বশেষ মাইগ্রেশনের ফল প্রকাশ ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৮ টা, ভর্তি ৭-১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ক্লাস শুরু ১৫ সেপ্টেম্বর। উল্লেখ্য অনলাইন ব্যতীত ম্যানুয়ালি কোনো ভর্তি কার্যক্রম করা হবে না।
ভর্তির যোগ্যতা ও বিভাগ নির্বাচন সম্রপর্কে বলা হয়েছে, যে কোনো শিক্ষাবর্ষে এসএসসি-সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের খ্রিষ্টাব্দ এবং ধারাবাহিকভাবে পূর্ববর্তী দুই খ্রিষ্টাব্দে দেশের যেকোনো শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা নীতিমালার অন্যান্য বিধানাবলি সাপেক্ষে কোনো কলেজ-সমমানের প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।
বিদেশি কোনো বোর্ড বা অনুরূপ কোনো প্রতিষ্ঠান হতে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা কর্তৃক তার সনদের মান নির্ধারণের পর উল্লিখিত শর্তের অধীনে ভর্তির যোগ্য বিবেচিত হবে।
ভর্তির আবেদনে একজন প্রার্থী যেভাবে বিভাগ নির্বাচন করতে পারবেন: বিজ্ঞান বিভাগ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ এর যে কোনটি। মানবিক বিভাগ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের যে কোনটি এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ হতে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগ এর যেকোনটি। যেকোনো বিভাগ (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা) থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ইসলামী শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ও সংগীত বিভাগ এর যে কোনটি।
বাংলাদেশ মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বিজ্ঞান বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ এর যে কোনটি এবং সাধারণ ও মুজাব্বিদ মাহির বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী বিজ্ঞান বিভাগ ব্যতীত যে কোনটি।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে এসএসসি (ভোকেশনাল) ও দাখিল (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীগণ সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের যে কোন বিভাগে ভর্তির আবেদন করতে পারবে।
কোন কলেজে কেন পছন্দ করবেন, কেন ভর্তি হবেন?
একাদশে ভর্তির কলেজ বাছাইয়ে দ্বিধায় আছেন? তাহলে আপনার সহায়ক হতে পারে দৈনিক শিক্ষাডটকম কলেজ র্যাঙ্কিং। প্রথমবারের মতো রাজধানীর উচ্চ মাধ্যমিক কলেজগুলোকে নিয়ে এই র্যাঙ্কিং করেছিল দৈনিক শিক্ষাডটকম। তাতে ৮৫ শতাংশেরও বেশি নম্বর পেয়ে আইডিয়াল বা এ প্লাস ক্যাটাগরিতে জায়গা করে নিয়েছিল সাতটি কলেজ। আর ৭৫ থেকে ৮৪ শতাংশ নম্বর পেয়ে খুব ভালো বা এ ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছিল ৩৬টি কলেজ। একাদশে ভর্তির জন্য একনজরে দেখে নিন সেই র্যাঙ্কিংয়ের ফল।
এ প্লাস ও এ ক্যাটাগরির কলেজগুলো নাম দেখুন :
কলেজ র্যাঙ্কিংয়ে ৮৫ শতাংশেরও বেশি নাম্বার পেয়ে এ প্লাস বা আইডিয়াল ক্যাটাগরিতে স্থান পেয়েছে সাতটি কলেজ। নটর ডেম কলেজ, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ, হলিক্রস কলেজ, ঢাকা কলেজ, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ ও সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
এছাড়া ৭৫ থেকে ৮৪ শতাংশ নাম্বার পেয়ে খুব ভালো বা এ ক্যাটাগরিতে ৩৬টি, ৬৫ থেকে ৭৪ শতাংশ নাম্বার পেয়ে বি ক্যাটাগরিতে (ভালো) ১৯টি এবং ৫০ থেকে ৬৪ শতাংশ নাম্বার পেয়ে সি ক্যাটাগরিতে সাতটি কলেজ স্থান পেয়েছে। ৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত সরেজমিন জরিপে ৫০ শতাংশের নিচে নাম্বার পেয়ে ডি ক্যাটাগরিতে স্থান পাওয়ার মতো কোনো কলেজ পাওয়া যায়নি।
এ ক্যাটাগরিতে স্থান পাওয়া কলেজগুলো হলো- ভিকারুননিনা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল; সরকারি বাঙলা কলেজ, লালমাটিয়া সরকারি মহিলা কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজ, নিউ মডেল ডিগ্রি কলেজ, তেজগাঁও কলেজ; মিরপুর কলেজ, উত্তরা হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, তেজগাঁও আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হামদর্দ পাবলিক কলেজ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমি (স্কুল অ্যান্ড কলেজ), শামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, সেন্ট গ্রেগরিজ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা মহানগর মহিলা কলেজ, সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ; উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি মোহাম্মদপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিসিআইসি কলেজ, হারুন মোল্লা ডিগ্রি কলেজ, মিরপুর বিজ্ঞান কলেজ, মিরপুর বাঙলা স্কুল অ্যান্ড কলেজ, আহছানিয়া মিশন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, দুয়ারিপাড়া সরকারি কলেজ, সরকারি রূপনগর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, গুলশান কমার্স কলেজ, ঢাকা সিটি কলেজ; ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হযরত শাহ আলী মহিলা কলেজ, লালবাগ সরকারি মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবং সিদ্ধেশ্বরী কলেজ।
বি ক্যাটাগরির কলেজগুলো হলো- উত্তরা ইউনাইটেড কলেজ, তেজগাঁও মহিলা কলেজ, ঢাকা উইমেন্স কলেজ, মাইল স্টোন কলেজ, আইডিয়াল কলেজ (ধানমন্ডি), সেন্ট্রাল উইমেন্স কলেজ, আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মতিঝিল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কিশলয় বালিকা বিদ্যালয় ও কলেজ, বশির উদ্দিন আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, পল্লবী ডিগ্রি কলেজ, সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ, সবুজবাগ সরকারি কলেজ, হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজ, আবুজর গিফারি কলেজ, আলহাজ্ব মকবুল হোসেন কলেজ, রামপুরা একরামুন্নেছা ডিগ্রি কলেজ ও ঢাকা ইম্পেরিয়াল কলেজ।
সি ক্যাটাগরিতে আছে- পোগোজ ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, খিলগাঁও স্কুল অ্যান্ড কলেজ, নতুন পল্টন লাইন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এইচ আর মেমোরিয়াল ডিগ্রি কলেজ, হাজি সেলিম ডিগ্রি কলেজ এবং ড. মালিকা কলেজ।
কলেজগুলোর কর্তৃপক্ষ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পৃথক প্রশ্নপত্রের ভিত্তিতে সরেজমিন পরিদর্শন ও জরিপের মাধ্যমে এই র্যাঙ্কিং চূড়ান্ত করা হয়। দেশের শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র পরিপূর্ণ ডিজিটাল পত্রিকা দৈনিক শিক্ষাডটকম ও দেশের শিক্ষাবিষয়ক একমাত্র জাতীয় প্রিন্ট পত্রিকা দৈনিক আমাদের বার্তা এ জরিপ কাজ পরিচালনা করে। জরিপ কাজে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) এক দল উদ্যমী ও মেধাবি শিক্ষার্থী।
জরিপে কলেজগুলোর উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির হার, পাসের হার ও ফলাফল, ভৌত অবকাঠামো, শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত, পাঠ্যক্রম বহির্ভূত অ্যাকটিভিটিজ, খেলার মাঠ, পাঠাগার, ক্লাব অ্যাকটিভিটিজ ইত্যাদি ২১টি মানদণ্ডের ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের মূল্যায়ন নেওয়া হয়।
3 comments