ঢাকা মেডিকেল কলেজ: ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ

🏥 ঢাকা মেডিকেল কলেজ: ইতিহাস, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ
লেখক: বরুণ কান্তি ঘোষ
বাংলাদেশের চিকিৎসা শিক্ষার অগ্রদূত এবং স্বাস্থ্যসেবার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রস্থল হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ডিএমসি)। ইতিহাস, ঐতিহ্য, চিকিৎসা শিক্ষা এবং জনসেবায় এর অবদান দেশের স্বাস্থ্যখাতে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে। এই প্রবন্ধে তুলে ধরা হলো ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রতিষ্ঠা থেকে বর্তমান পর্যন্ত সব দিক।
🔹 ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠা:
ঢাকা মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয় ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই, প্রাথমিকভাবে মাত্র ১০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ব্রিটিশ সরকার স্বাস্থ্যখাতের গুরুত্ব অনুধাবন করে এটি প্রতিষ্ঠা করে। শুরুতে মিটফোর্ড হাসপাতালেই ক্লাস হতো, পরে ১৯৫৫ সালে বর্তমান ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়।
🔹 বিভাগ ও শিক্ষাকাঠামো:
বর্তমানে কলেজে রয়েছে প্রায় ৪০টি বিভাগ, যেখানে পড়ানো হয় এমবিবিএস, বিডিএস, পোস্টগ্র্যাজুয়েট এবং ডিপ্লোমা প্রোগ্রাম। প্রতি বছর প্রায় ২৩০ জন শিক্ষার্থী এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হয়।
ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনকারী: ৭০,০০০+
মোট ছাত্রছাত্রী সংখ্যা: ১,৬০০+
শিক্ষক সংখ্যা: ৩০০+
প্রশিক্ষক ও রেসিডেন্ট: ১,২০০+
🔹 হাসপাতাল ও চিকিৎসাসেবা:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সরকারি হাসপাতাল।
মোট শয্যা: ২,৬০০+
দৈনিক বহির্বিভাগ রোগী: ১০,০০০+
ভর্তি রোগী: ৩,০০০+
ওয়ার্ড সংখ্যা: ১০০+
ICU: ৮টি ইউনিট
বার্ন ইউনিটে প্রতিদিন সেবা: ৪০০+ রোগী
🔹 আধুনিক প্রযুক্তি ও সেবা:
২৪/৭ জরুরি সেবা
ডিজিটাল এক্স-রে, সিটি স্ক্যান (৬৪ স্লাইস), এমআরআই (৩.০ টেসলা)
ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি
হেমোডায়ালাইসিস ইউনিট
টেলিমেডিসিন
ইলেকট্রনিক মেডিকেল রেকর্ড (EMR)
🔹 চিকিৎসকদের আচরণ ও সেবা মনোভাব:
কনসালট্যান্ট: ৫০০+
ইন্টার্ন ও পোস্টগ্র্যাজুয়েট ডাক্তার: ১২০০+
নার্স: ১,৫০০+
বেশিরভাগ চিকিৎসক পরিশ্রমী ও রোগীবান্ধব হলেও, রোগীর চাপ বেশি হওয়ায় মাঝে মাঝে অপ্রত্যাশিত আচরণ দেখা যায়। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পেশাগত আচরণে ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে।
🔹 জাতীয় সংকটে অবদান:
১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা মেডিকেলের ছাত্র-শিক্ষকদের অসামান্য অবদান
২০২০ কোভিড-১৯ মহামারিতে ফ্রন্টলাইন হাসপাতাল
প্রায় ৩০০+ ডাক্তার ও নার্স সরাসরি কোভিড ইউনিটে দায়িত্ব পালন করেছেন
উপসংহার:
ঢাকা মেডিকেল কলেজ শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়—এটি জাতির চিকিৎসা ও মানবসেবার প্রতীক। প্রযুক্তির সঙ্গে চিকিৎসা, শিক্ষা ও মানবিকতা একত্রিত করে এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতকে আরও সমৃদ্ধ করবে, এটাই প্রত্যাশা।
fDfiObrLP
fDfiObrLP
WwhVEsUY
WwhVEsUY
QqBlTabwQAktz
QqBlTabwQAktz
QDyJmLPplX
QDyJmLPplX